পরিচিতি
মোঃ সবুর খান
চেয়ারম্যান, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও ড্যাফোডিল ফ্যামিলি
সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি
সাবেক সভাপতি, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি
দেশে প্রথমবারের মতো গৃহীত দুই হাজার উদ্যোক্তা তৈরি প্রকল্পের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি BCS) ও ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (DCCI)-এর সাবেক সভাপতি মোঃ সবুর খান দেশের শিক্ষা, ব্যবসা, শিল্প ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অবদান রেখে চলেছেন প্রতিনিয়ত। তরুণ শিল্পপতি ও সমাজসেবক, ড্যাফোডিল ফ্যামিলির স্বত্বাধিকারী ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজ-এর চেয়ারম্যান মোঃ সবুর খান শুধু তথ্য প্রযুক্তি খাতেই সুখ্যাতি ছড়াননি বরং একজন সৎ ও আদর্শ ব্যবসায়ী নেতা হিসেবে দেশে-বিদেশে নিজের অবস্থানকে করেছেন সুসংহত। ১৯৬৫ সালে জন্ম নেয়া চাঁদপুরের এই কৃতী সন্তান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করে আইটি ব্যবসায়ী হিসেবে তাঁর প্রথম কোম্পানি ‘ড্যাফোডিল কম্পিউটারস লিমিটেড’ (DCL)-এর মাধ্যমে ক্যারিয়ার শুরু করেন, যা পরবর্তীতে ২০০৩ সালে পাবলিক লিস্টেড কোম্পানিতে পরিণত হয়। প্রতিভা, মেধা, ব্যবসায়িক দক্ষতা, প্রজ্ঞা, পরিশ্রম, সহনশীলতা আর দূরদর্শিতা দিয়ে সেই ১৯৯০ সাল থেকেই একের পর এক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছেন।
শিক্ষাজীবনের প্রথম থেকেই পড়ালেখার পাশাপাশি তিনি সমাজের জন্য কিছু করার মানসিকতা পোষণ করতেন। স্কাউট আন্দোলনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখেন। ১৯৭৮ সালে প্রথম স্কাউট জাম্বুরিতে কুমিলা জেলার শ্রেষ্ঠ স্কাউট নির্বাচিত হন, বশ্বিবিদ্যালয় জীবনে তিনি রোটারেক্ট ক্লাবের সক্রিয় সদস ছিলেন। মানুষের উন্নয়নে একে একে গড়ে তোলেন ‘উত্তরণ অগ্রদূত’ ‘বাবুরহাট কল্যাণ ট্রাস্ট’ ও ‘ড্যাফোডিল ফাউন্ডেশন’-এর মতো সমাজসেবী প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশে তথ্য প্রযুক্তির সেরা ব্যক্তিত্ব হিসেবে বহুবার পুরস্কৃত হয়েছেন। ২০১৩ সালে ‘ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সভাপতি নির্বাচিত হয়ে দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে নানামুখী উদ্যোগের মাধ্যমে ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করেন। ২০০২ সালে দেশের শীর্ষস্থানীয় আইটি সংগঠন ‘বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি’ (BCS) র সাধারণ নির্বাচনে সর্বাধিক ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হন। BCS গঠনে তার নানামুখি অবদান অনুস্বীকার্য। তাঁরই সফল নেতৃত্বে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি The Asian Oceanian Computing Industry Organization (ASOCIO)-এবং The World Informationa Technology and Services Alliance(WITSA)-এর সবি স্সযা বনিসনি ভূ বকিল পলয়ে কন । BCS সভাপতি থাকাকালিন ICT Ministry, IT Incubator, BCS Computer City(IDB)প্রভৃতি গঠনে তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে।
তিনি বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ আইটি এসোসিয়েশন (BITA)-এর সভাপতি, BASIS, AOTS, FBCCI, JCCI , ঢাকা ওয়াসা, তিতাস গ্যাস, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জসহ অনেক সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। বর্তমানে তিনি BCS এর প্রতিনিধি হিসেবে WITSA এর পরিচালক ও Global Trade Committee of WITSA -এর চেয়ারম্যান, Association of Private University Bangladesh (APUB) ও Association of University in Asia Pacific (AUAP)-এর এক্সিকিউটিভ মেম্বার এবং বাংলাদেশে World Business Angels Investment Forum (WBAF)-এর হাইকমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন। ব্যবসায় জগতে নেতৃত্ব এবং সুখ্যাতির স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক তিনি সিআইপি-র মর্যাদায় ভূষিত হন।
Job Creation, Entrepreneurship Development, Industrial linkage, Soft Skills Development, Career Counseling, Training & Development ইত্যাদি বিষয়ে নিজ অভিজ্ঞতার আলোকে নিরন্তর প্রায়োগিক গবেষণা; Asia's Most Inspiring Nation Builder Award, World Education Congress Global Award, Leadership Award, Prime Minister’s Award jvf, WITSA- Best ICT Entrepreneur in the world Award, Top Ten Malaysia ম্যাগাজিন কর্তৃক নির্বাচিত প্রথম দশের একজন সফল উদ্যোক্তার স্বীকৃতি; বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের সাথে Art of Living নামে সুপাঠ্য বই রচনার পর Handbook of Entrepreneurship Development, A Journey Towards Entrepreneurship, & ‘উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও ব্যবসায় নির্দেশনা’ প্রকাশের কৃতিত্ব জনাব খানকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। ড্যাফোডিল ফ্যামিলিতে ‘Employability 360°, Change Together I Change Management মিশন চালুর মাধ্যমে তিনি সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের বার্তা দিয়েছেন। ব্যবসায়, আইটি ও উদ্যোক্তা ক্ষেত্রে অবদানের প্রতিদান হিসেবে কিরগিজস্তান, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভারতসহ পৃথিবীর বেশকিছু দেশের খ্যতনামা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে Visiting Professor I Honorary Professor খেতাবে ভূষিত করেছে। এছাড়াও তিনি Ala-Too International University, বিসকেক; ও Naryn State University, নারিন, কিরগিজস্তান থেকে Honorary Doctorate অর্জন করেছেন।
Kauffman Foundation, Global Entrepreneurship Network (GEN), Child & Youth Finance International (CYFI)-র সাথে তাঁর উদ্যোক্তাসুলভ অভিজ্ঞতা তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ে Department of Entrepreneurship সহ Venture Capital company, Business Incubator, DIU Industry-Academia Lecture Series প্রভৃতি গঠনে পথিকৃত হিসেবে দায়িত্ব পালনে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে।
তারুণ প্রজন্মকে উন্নত ভবিষ্যৎ গড়ার স্বপ্ন দেখানোর মানুষটি ভবিষ্যতে দেশের শিক্ষিত যুবসমাজকে আত্মকর্মসংস্থানের পথে উদ্বুদ্ধকরণ ও দিক নির্দেশনার মাধ্যমে আত্মপ্রত্যয়ী ও স্বনির্ভর করে গড়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।